ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান ফরিদপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়ায় ঠাকুর শম্ভুচাঁদের সমাধি সৌধের পশ্চিম পাশের জোলয় ডান হাত বিকলাঙ্গ ২২/২২ বছলের শম্ভু হলদার খরা দিয়ে মাছ ধরতে ছিল। ঠিক দুপুর নাগাদ গঠাৎ এক দরবেশ জোলা পার হতে চায়। বিললাঙ্গ শম্ভু হলদারের নৌকা দিয়ে দরবেশকে পার করে দিতে খুব কষ্ট হয়। দরবেশ যাওয়ার সময় শম্ভু হলদারকে বলে আর মাছ ধরতে হবে না, তোর কথায় মানুষের উপকার হবে। এ ঘটনার পরে এক রাতে শম্ভু হলদার স্বপ্নের নির্দেশ মতে তার কুঁড়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ে অনেক সোনা যায় এবং সে রাতের পর থেকে সে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে শুরু করে। দেশ বিদেশের অনেক ভক্ত তার জুটে যায়। অনেক ঘটা করে সে পূজা করা শুরু করে। চৈত্র মাসে রাস উপলক্ষে এখানে বিরাট মেলা বসতে শুরু করে। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার পুরুষ ও মহিলা ভক্তবৃন্দ এ মেলায় অংশ নিতে থাকে। এক সময় শম্ভু হলদার বিশাল সম্পদের মালিক হয় এবং সে ঠাকুর শম্ভু চাদ পরিণত হয়। কথিত আছে। যে, ঠকুর শম্ভু চাঁদ ৭৬ বছর এবং তার স্ত্রী ৬৮ বছর বয়সে একই রাতে মারা যায়। তাদের ছেলেরা তাদের পিতা-মাতার দেহ ত্যাগের স্থানে জোড়া মঠ বা সমাধি সৌধ তৈরী করে। বর্তমানে পশ্চিম পাশের মঠটি ভেঙ্গে পড়েছ। এখনো অনেক হিন্দু ভক্তবৃন্দ ও স্থানে শ্রদ্ধা জানাতে আসে। একজন ভক্ত ও তার স্ত্রী এখানে স্থায়ীভবে বসবাস করে ঠাকুরের সেবা করে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস